খেজুর ও শসা খাওয়ার হাদিস - জেনে নিন

আপনি কি জানতে চান খেজুর ও শসা খাওয়ার হাদিস কি। তাহলে আজকের এই পোস্ট আপনার জন্য, আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের জানাবো খেজুর ও শসা একসাথে খাওয়ার হাদিস কি। 

খেজুর-ও-শসা-খাওয়ার-হাদিস
খেজুর ও শসা একসাথে খাওয়ার বেশ কয়েকটি হাদিস রয়েছে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ আমাদের খেজুর ও শসা একসঙ্গে খেতে বলেছে এতে অনেকগুলো উপকার রয়েছে আসুন আমরা হাদিসগুলো বিস্তারিত জেনে নিই। 

পোস্ট সূচীপত্রঃ খেজুর ও শসা খাওয়ার হাদিস 

খেজুর ও শসা খাওয়ার হাদিস

খেজুর ও শসা একসাথে খাওয়ার অনেক উপকার রয়েছে যেগুলো আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকারী। খেজুর ও শসা দুটোই আল্লাহু তায়ালার সৃষ্টি এবং এই দুটির মধ্যে অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে। আপনি হইত জানেন না খেজুর ও শসা খাওয়ার হাদিস রয়েছে। আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ খেজুর ও শসা একসঙ্গে খেয়েছিলেন। আরো পড়ুন
খেজুর ও শসা একসাথে খাওয়া সুন্নত এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ শরীরের ভারসাম্য রক্ষার জন্য খেজুর ও শসা একসাথে খেতেন। খেজুর হলো গরম প্রকৃতির খাবার আর শসা হল ঠাণ্ডা প্রকৃতির খাবার তাই খেজুর ও শসা একসাথে খেলে একটির তাপ অন্যটির ঠাণ্ডা দ্বারা ভারসাম্যপূর্ণ হয়। 

খেজুর ও শসা একসাথে খেলে কি হয়

খেজুর ও শসা একসাথে খেলে আমাদের শরীরে এক অসম্ভব শক্তি সৃষ্টি হয়। কেউ যদি নিয়মিত এই খাবারটি একসাথে খেতে পারে তাহলে তার সকল প্রকার দুর্বলতা দূর হয়ে যায়।সে শক্তিশালী ও সুঠামদেহের অধিকারী হয়।  সাধারণত খেজুর ও শসা মানব দেহের তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করে। কারণ শসা হল ঠান্ডা প্রকৃতির যার শরীরের অতিরিক্ত চাপ কমায় এবং খেজুর হলো গরম প্রকৃতির খাবার যা শরীরে শক্তি ও উষ্ণতা যোগায়। 

খেজুরে আছে প্রাকৃতিক বিভিন্ন পুষ্টিগুণ যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এতে রয়েছে চিনি, ক্যালসিয়াম, হাইবার ও লৌহ। আবার শসার মধ্যে পাওয়া যায় পানি, ভিটামিন কে ও এন্টিঅক্সিডেন্ট। এই দুইটি ফল যদি কেউ একসাথে খায় তাহলে তার শক্তি বাড়ে, হজম ভালো হয় ও শরীর সতেজ থাক। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় জানা যায় খেজুর শরীরে তাৎক্ষণিক গ্লুকোজ দেয় আর শসা শরীর ঠান্ডা রাখে ফলে এটি একটি প্রাকৃতিক ডায়েট হিসাবেও কাজ করে। তবে আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়ার থেকে সাবধান থাকতে হবে। কেননা এতে মানব দেহের বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। 

নবী করিম সাঃ এর খেজুর ও শসা খাওয়ার অভ্যাস 

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি ছিলেন অত্যন্ত সরল, পরিমিত এবং প্রাকৃতিক। তিনি যে সকল খাবারগুলো পছন্দ করতেন সেগুলো শরীরের জন্য উপকারী ও ভারসাম্যপূর্ণ খাবার। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় ও এটি প্রমাণিত হয় যে খেজুর ও শসা একসাথে খেলে শরীরের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় থাকে। খেজুর ছিল নবী করীম সাঃ এর খুবই পছন্দের একটি খাবার তিনি বিশেষ করে ইফতারে এবং সকালের নাস্তায় খেজুর খেতে।  
খেজুর-ও-শসা-খাওয়ার-হাদিস
শুধুমাত্র খেজুর ও শসাই নয় আমাদের মহানবী সাঃ যে খাবারগুলো পছন্দ করতেন সেগুলোতেই রয়েছে বিভিন্ন প্রকার প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীরকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে, তিনি তার খাদ্য অভ্যাসে সকল প্রকার পুষ্টিগুণ খাবার গুলো খেতেন। যেহেতু আমাদের বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেজুর ও শসা  একসাথে খেতেন তাই খেজুর ও শসা আমাদের জন্য সুন্নাহ। আর আমরা যদি নবীজির সুন্নাহ অনুসরণ করি তাহলে আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে। 

গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে শসা ও খেজুরের ভূমিকা

গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে শসা ও খেজুরের ভূমিকা অপরিসীম। যেহেতু এটি একটি সুন্নতি খাবার সেহেতু আমরা সকলেই জানি খেজুর ও শসার ভূমিকা মানবদেহের জন্য অপরিসীম। উপরে আমরা সকলেই জেনেছি শসা এবং খেজুরের মধ্যে কি কি প্রাকৃতিক উপাদান গুলো রয়েছে। এবং আমরা জানি এগুলো মানবদেহের কেমন ভূমিকা পালন করে। খেজুর এবং শসা আমাদের শরীরের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে মূলত এই কারণে এর ভূমিকা অপরিসীম। 
গরমের সময় শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে আমাদের শরীরে ক্লান্তি, দুর্বলতা ও পানি শূন্যতা দেখা দেয়। তাই দ্রুত আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখতে হবে। এ সময় যদি আপনি খেজুর ও শসা একসাথে খান তাহলে আপনার দেহের যে সকল পুষ্টি উপাদান গুলোর প্রয়োজন হবে তা যোগাবে। খেজুর ও শসা গরমের সময় খাওয়ার জন্য উপযুক্ত কেননা সে সময় আমাদের দেহে বিভিন্ন ক্রান্তি ও দুর্বলতা দেখা দেয় সেই কারণেই সেই কারণেই আমাদের উচিত গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে খেজুর এবং শসা একসাথে খাওয়া। 

শারীরিক দুর্বলতায় খেজুর ও শসার ভূমিকা

শারীরিক দুর্বলতায় খেজুর ও শসার ভূমিকা অপরিসীম। এই খেজুর ও শশা আমাদের শরীরের শক্তি ও ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই খাবারটি নবীজি পছন্দ করতেন কারণ এই খাবারটি দেহের দুর্বলতাকে দূর করতে সাহায্য করে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এই খেজুর ও শসা আমাদের শারীরিক দুর্বলতাকে দূর করতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 
খেজুর এবং শসাতে থাকা প্রোটিন গুলো আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী এগুলো আমাদের দেহের সকল প্রকার দুর্বলতাকে দূর করতে সাহায্য করে। এই দুইটি খাবার যদি কেউ নিয়মিত একসঙ্গে খেতে পারে তাহলে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং তার শরীর প্রাকৃতিকভাবে শক্তিশালী ও সতেজ হয়ে উঠবে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন শারীরিক দুর্বলতায় খেজুর ও শসার ভূমিকা কেমন। 

গর্ভবতী নারীদের জন্য খেজুর ও শসা খাওয়ার উপকারিতা

আমরা জানলাম খেজুর ও শসা আমাদের দেহের জন্য কতটা উপকারী। এবার আমরা জানবো গর্ভবতী নারীদের জন্য খেজুর ও শসা খাওয়ার উপকারিতা কি। গর্ভবতী অবস্থায় মা ও শিশু স্বাভাবিক সুস্থতা বজায় রাখতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। আর এই খেজুর ও শসা এই দুইটি প্রাকৃতিক খাদ্যের মধ্যে ইসলামী এবং বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে গর্ভবতী নারীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী উপাদান গুলো রয়েছে। 

গর্ভাবস্থায় নারীদের দেহে অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন হয় এবং শরীরকে সবসময় ঠান্ডা ও সতেজ রাখতে হয়। নিয়মিত যদি গর্ভবতী মা খেজুর ও শসা একসাথে খায় তাহলে তার দেহে সকল প্রকার শক্তি উৎপাদন হবে। এই খেজুর ও শসা দেহের রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে যা গর্ভবতী মায়ের জন্য জরুরী। এটি শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখে। হজমের সমস্যা দূর করে এবং সন্তান প্রসবের সময় সহজতা আনে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন গর্ভবতী নারীদের জন্য খেজুর ও শসা কতটা উপকারী।

কোন খেজুরটি সবচেয়ে উপকারী 

আমরা খেজুর ও শসা একসাথে খেতে চাই কিন্তু আমরা জানি না কোন খেজুরটি সবচেয়ে উপকারী। আজ আমি আপনাদের জানাবো কোন খেজুরটি সবচেয়ে বেশি উপকারী। অনেকগুলো খেজুর রয়েছে যার মধ্যে সবচেয়ে উপকারী খেজুর হলো আজওয়া খেজুর। এই খেজুরটি শসার সাথে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। এই খেজুরের অনেকগুলো উপকারিতা রয়েছে আসুন জেনে নেই। 
খেজুর-ও-শসা-খাওয়ার-হাদিস
আজওয়া খেজুরের উপকারিতা 
  • জাদু ও বিষের প্রতিক্রিয়া থেকে রক্ষা করে
  • হৃদপিণ্ড, রক্তচাপ ও স্নায়ুর জন্য উপকারী
  • শক্তি যোগায় এবং রক্তস্বল্পতা দূর করে
  • এন্টিঅক্সিডেন্ট ও আয়রনের সমৃদ্ধ করে
এই আজওয়া খেজুর ছাড়াও আরো অনেকগুলো জাতের খেজুর পাওয়া যায়। সেগুলোর মধ্যেও অনেক উপকারিতা রয়েছে তবে এই আজওয়া খেজুর সবচেয়ে বেশি উপকারী আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।  

লেখকের মন্তব্যঃ খেজুর ও শসা খাওয়ার হাদিস

পুরো পোস্ট জুড়ে আমরা খেজুর ও শসা খাওয়ার হাদিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। খেজুর ও শসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও ভিটামিন যা মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী। এটি আমাদের দেহের ভারসাম্য বজায় রাখে। দেহের রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে। খেজুর হলো গরম প্রকৃতির এবং শসা হলো ঠান্ডা প্রকৃতির। আর এই দুইটি একসাথে খেলে শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখে যার শরীরের জন্য উপকারী। 

গর্ভবতী মায়ের জন্য এই খেজুর ও শসা অত্যন্ত জরুরী। গর্ভবতী মায়ের যে সকল ভিটামিন ও পুষ্টিগুলো প্রয়োজন হয় সেগুলোর প্রায় অনেকগুলোই এই খেজুর ও শসাতে রয়েছে। এছাড়াও গর্ভবতী মায়ের রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে এবং শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখে যা গর্ভবতী অবস্থায় খুবই প্রয়োজনীয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একসাথে খেজুর ও শসা খেতেন কারণ এতে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যা মানব দেহের জন্য প্রয়োজনীয়। তাই আমি আপনাদের বলব অবশ্যই আমাদের নিয়মিত খেজুর ও শসা একসাথে খাওয়া উচিত। পোস্টটি কেমন লেগেছে তা কমেন্টে জানাবেন। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url